তুলার দাম বেশি ভারতের, বিকল্প ভাবতে পারে বাংলাদেশ।

ভারত রপ্তানি প্রিমিয়ামের চার্জ বাড়ানোয় তুলার বাজার হারাচ্ছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে তাদের তুলা রপ্তানি কমতে শুরু করেছে। চড়া দামের কারণে বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, চীনের মতো দেশগুলো ভারতের বদলে তুলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল, অস্ট্রেলিয়াসহ আফ্রিকান দেশগুলোর দিকে বেশি ঝুঁকতে পারে।

বাংলাদেশকে প্রতি পাউন্ড (প্রায় ৪৫০ গ্রাম) তুলা ১৩৫ সেন্টে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৬ টাকা প্রায়) বিক্রির প্রস্তাব দিচ্ছে ভারত, যা বেঞ্চমার্ক যুক্তরাষ্ট্রের দামের চেয়ে প্রায় ২০ সেন্ট (প্রায় ১৭ টাকা) বেশি। ভারত সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের দামের ওপর ৫ থেকে ১০ সেন্ট/পাউন্ড প্রিমিয়াম চার্জ বসায়।

মুম্বাইভিত্তিক কোটাক জিনিং অ্যান্ড প্রেসিং ইন্ডাস্ট্রিজ (প্রা.) লিমিটেডের পরিচালক বিনয় কোটাক বলেন, তুলা রপ্তানি সন্তোষজনক নয়। আমরা বাংলাদেশে অল্প পরিমাণে বিক্রি করছি। কিন্তু অন্যরা কিনছে না।

বিনয় কোটাকের বিশ্বাস, স্থানীয় বাজারে তুলার রেকর্ড দামের কারণে ২০২১-২২ বিপণনবর্ষে ভারতের রপ্তানি হোঁচট খেতে পারে। তার ধারণা, এ বর্ষে দেশটি মাত্র ৪০ লাখ বেল তুলা রপ্তানি করতে পারে, এক বছর আগেও যার পরিমাণ ছিল অন্তত ৭৮ লাখ বেল। ক্রেতারা প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য সরবরাহকারীদের দিকে ঝুঁকে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

মুম্বাইয়ের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সংস্থার এক ডিলার জানান, বাংলাদেশের কিছু ক্রেতা বেশি দামে ভারতীয় তুলা কিনছেন। কারণ, তাদের দ্রুত চালান এবং ডেলিভারির নিশ্চয়তা দরকার।তবে বারবার দাম বেশি বেড়ে যাওয়াতে বাংলাদেশ অবশ্যই বিকল্প ভাবতে পারে।

বাংলাদেশে ভারতীয় তুলার প্রায় অর্ধেকই আমদানি হয় সড়কপথে। ফলে চালানের নিশ্চয়তার ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে থাকে ভারত।

ফলে অন্যান্য দেশের থেকে কম দামে পেলেও পরিবহনে সময় বেশি লাগে।এছাড়া হঠাৎ জাহাজ ভাড়া বেড়ে গেলে খরচও বেড়ে যায়।

বাংলাদেশের উচিত তুলার চাষ বৃদ্ধি করে পরিপূর্ণ স্বয়ংসম্পূর্ণ হোক।তাতে ভারত অন্যান্য দেশের দিকে চেয়ে থাকতে হবে না।

ছবিঃ বাংলাদেশের রাজশাহীতে তুলা চাষ।